সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার নিচের ৮টি টিপস ফলো করলে ভালো মানের কনটেন্ট লিখা সম্ভব –
১। উপকারি(Useful) এবং আকর্ষণীয়(Attractive) বিষয়ে লিখুন:
মানুষের উপকারি, দরকারি এবং বিনোদনমুলক কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করুন। অধিকাংশ সময় সার্চ ইঞ্জিন এ ধরণের সাইটকে প্রধান্য দেয়। আবার আপনি যদি পাঠকদের সাথে রিলেটেড কনটেন্ট(related content) শেয়ার করতে পারেন তাহলেও সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে প্রাধান্য দিবে। যত বেশী আপনার কনটেন্টটা পাঠকদের উপকারি আর বিনোদন দিবে, তত বেশী আপনার কনটেন্টটা শেয়ার হবে। তবে, একটি ভালো কনটেন্ট বা আর্টিকেল সবসময় তার গুণ(quality) ধরে রাখে।
২।সংক্ষিপ্ত এবং পয়েন্ট ভিত্তিক:
পাঠকদের কতটুকু সময় আছে এবং তারা কতটুকু সময় আপনার সাইটে দেয় সেটা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। আপনি আপনার কন্টেন্টটি সংক্ষিপ্ত এবং পয়েন্ট ভিত্তিক লিখার চেষ্টা করুন। কিছু কিছু আর্টিকেল খুব বড় এবং লম্বা হয়ে থাকে। সেগুলো পড়তে অনেকেরই বিরক্ত লাগে। যদি কোন ব্যক্তি আপনার টিউন বা আর্টিকেল ৫ বা ১০ মিনিট যাবৎ পড়ে তাহলে আপনি কনটেন্টের জন্য স্থায়ী পাঠক পাবেন। আপনি পয়েন্ট দিয়ে লিখলে লিস্ট তৈরি হবে। পাঠক যেন সহজে বুঝতে পারে তাই সহজ করে লিখার চেষ্টা করুন।
তবে আর্টিকেল এর বিষয়বস্তুর উপর এটা নির্ভর করে। যেমন, কোন বিষয় যদি ৫০০ শব্দে বুঝান যায়, তবে সেটাকে ৫০০০ শব্দে উপস্থাপন করা হলে নিশ্চয়ই তা ভালো লাগবে না, তাই না?
আবার, অন্যদিকে যদি কোন বিষয় ৫০০০ শব্দে বুঝাতে হয়, তবে সেটা ৫০০ শব্দে উপস্থাপন করলে অবশ্যই খুব বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়, তাই নয় কি।
৩। আপনার কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন এবং বিজ্ঞতার সাথে ব্যবহার করুন:
একটি আর্টিকেল লেখা শুরু করার পূর্বে হয়ত আপনি কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তা অলরেডি বাছাই করে ফেলেছেন। এই কীওয়ার্ডগুলোকে আপনার আর্টিকেল এর টাইটেল, মেটা- ট্যাগ এবং বডিতে অন্তর্ভুক্ত করুন।
অধিকাংশ পাঠক যথেষ্ট জ্ঞানী হয় এবং তারা আপনি কি করছেন তা দেখে আপনার সাইট থেকে বিদায় হয় ও আর কখনো ফিরে আসে না। আপনার কনটেন্টটিকে ট্যাগ করুন। এটা করলে সার্চ ইঞ্জিন অনেক সঠিকভাবে আপনার সাইটকে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। ফলে খুব সহজে আপনি সার্চ ইঞ্জিন এ একটা পজিশন পেয়ে যাবেন।
৪। নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি:
যে বিষয়ে আপনি আর্টিকেল লিখেছেন হয়ত প্রত্যেকেই সে বিষয়ে লিখতে পারবে কিন্ত আপনার আর্টিকেল এ আপনার নিজের গল্প এবং নিজের অভিজ্ঞতা যোগ করুন দেখবেন সেটা সবার চেয়ে আলাদা হবে। আর্টিকেল লিখার সময় মাঝে মাঝে প্রশ্ন করবেন আবার সে প্রশ্ন এর উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে দিবেন। এ পদ্ধতি আপনার পাঠকদের আর্টিকেলটি পড়তে মজাদার করে তুলবে। যদি আর্টিকেলটিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি মিলে যায় তাহলে এ আর্টিকেলটি অধিক শেয়ার হবে এবং এতে অধিক পাঠকের আগমন ঘটবে।
৫। লেখার মধ্যে লিংক দিন:
আপনি যখন আপনার লিখিত আর্টিকেল এর মধ্যে লিংক যোগ করবেন তখন যা করতে হবে তা হচ্ছে আর্টিকেল এর মাঝে বা শেষে বলে দিবেন না যে “এখানে দেখুন” বরং আপনি আর্টিকেল এর মাঝে শব্দের উপর লিংক করুন। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আপনাকে সঠিক এঙ্কর টেক্সট এর উপর লিংক করতে হবে। আবার আপনি যখন কোন অধিক অথরেটিভ সাইট থেকে আপনার সাইট এর জন্য ব্যাকলিংক যোগ করেন, গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে তখন আপনি যে তথ্য শেয়ার করেছেন সেটার উপর পাঠকদের অধিক বিশ্বাস তৈরি হয়। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিন ও এতে অধিক গুরুত্ব দেয়।
৬।সার্চ ইঞ্জিনে ভালো রেঙ্কিং এর জন্য ইমেজ অপটিমাইজ করুন:
টেক্সট এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ইমেজ ব্যবহার করুন। এটা আপনার আর্টিকেলকে শুধু অধিক সুন্দরই করবে না বরং টেক্সট এর সাথে সম্পর্কিত কীওয়ার্ড দিয়ে ইমেজ আপটিমাইজ করতে পারবেন। ইমেজ অপটিমাইজ করে রিলেটেড টিউনে ইমেজ শেয়ার করুন।
আপনার কন্টেন্ট এ ইমেজ সাইজ বড় হলে এটা লোড নিতে বেশি সময় লাগবে। তাই ইমেজকে এডিট করে ইমেজের সাইজ কমিয়ে এর লোডের টাইম কমান। আপনার লোড টাইম বেশি হলে, ভিজিটর বিরক্ত হয়ে লোড হবার আগেই, আপনার পেজটি ক্লোজ করে দিতে পারে। অন্যদিকে, ইমেজ লোডের উপর ও এস ই ও এর অনেক প্রভাব পড়ে। আসলে, সাইট লোডিং টাইম এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইমেজটা যত সম্ভব ছোট দেয়ার চেষ্টা করুন, তবে খেয়াল রাখবেন এর কোয়ালিটি যেন নষ্ট না হয়।
অন্যদিকে, আপনার ইমেজ যত সুন্দরই হোক না কেন, সার্চ ইঞ্জিন বট ইমেজ বা ইমেজ এর মধ্যে কি আছে তা পড়তে পারে না। তাই ইমেজ সম্পর্কে ধারণাও করতে পারেনা। এক্ষেত্রে, আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ALT ট্যাগ বা অলটার ট্যাগ। এই ট্যাগটি সার্চ ইঞ্জিন বট কে ইমেজ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। যার ফলে, সার্চ ইঞ্জিন বট ঐ তথ্য অনুসারে ইমেজটি ইনডেক্স করে নেয়। পরবর্তীতে যখন ভিজিটর সার্চ করে, তখন রিলেটেড কিওয়ার্ড ভিত্তিক ঐ ইমেজটি দেখায়।
৭। কনটেন্ট পাবলিশ করার আগে প্রুফ রিডিং(Proof Reading) করুন:
এটা অবশ্যই প্রত্যেক লেখকের জন্য জরুরি। অর্থাৎ আপনার লিখিত কনটেন্ট পাবলিশ করার আগে ভালভাবে কনটেন্ট বা আর্টিকেলটি পড়ে নিন। আপনার কাজ সঠিক হয়েছে কিনা সেটা প্রমাণ পাওয়ার জন্য প্রুফ রিডিং নিন। অর্থাৎ পাবলিশ করার আগে আর্টিকেল এর বানান, ইমেজ সঠিকভাবে বসিয়েছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।
আপনি যদি কীওয়ার্ড ঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে আপনার সমস্ত কঠিন পরিশ্রম বিফল হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, আপনার পাঠকরা বানান বা ব্যাকরণগত ভুলের কারণে আপনাকে বিরক্ত করুক। তাই না?
তাই পাবলিশ করার আগে একবার সম্পূর্ণ লেখাটা ভালো করে পড়ে নিন। এতে যে সমস্ত এডিট এর প্রয়োজন তা করে নিন।
৮। আপনার কন্টেন্টটি শেয়ার যোগ্য করে তুলুন:
আপনি একটি কিলার আর্টিকেল লিখেছেন এবং এটা পাবলিশ করে দিয়েছেন। এখন পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা ধাপ হচ্ছে, এই আর্টিকেলটি শেয়ার যোগ্য করে তোলা।
আপনার সাইটে সব ধরণের লিডিং সোশ্যাল শেয়ার সাইটের পোর্টগুলো রাখুন। আপনার রিডাররা যেন তাদের পছন্দমতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এ আপনার কন্টেন্টটি সহজে শেয়ার করতে পারে, সাইট এ সে ব্যবস্থা রাখুন। আপনার কনটেন্টটি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে বার বার শেয়ার হয় তাহলে আপনার সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্কিং ও বেড়ে যাবে। বর্তমানে, সার্চ ইঞ্জিনসমূহ বিশেষত গুগল, সোশ্যাল মিডিয়াকে (কোন টিউন এর উপর লাইক, শেয়ার, টিউমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রমকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়।
The post সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার ৮টি টিপস appeared first on Answerglobe.