প্রযুক্তির সুবিধায় এমনভাবে শিয়রে সমন আসতে পারে তা কারোর পক্ষেই অনুধাবন করা কঠিন। তবে, সর্বস্ব হারানোর আগে সাবধান হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্মার্টফোন কালচারে এখন ‘ওয়াই-ফাই’ একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এরমধ্যে মোস্ট অ্যাট্রাক্টিভ ‘ফ্রি-ওয়াই-ফাই’-এর সুবিধা। এখন ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ জোনের এতটাই চাহিদা যে রেলস্টেশন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বহু রেস্তোরাঁ থেকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাও গ্রাহক টানতে এখন এর দ্বারস্থ হয়েছে। যার ফলে, এই সব স্থানে গেলে কোনও পাসওয়ার্ড ছাড়াই বিনামূল্যে ‘ওয়াই-ফাই’ কানেক্ট করা যায়। মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ‘ওয়াই-ফাই’ হল একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে মোবাইল বা ল্যাপটপে কোনও বাড়তি ডিভাইস বা কেবল সংযোগ না লাগিয়েও ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়া যায়। এমনকী, ‘ওয়াই-ফাই’ দিয়ে একটি ইন্টারনেট কানেকশনকে বহুজনে শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে।
এই ‘ওয়াই-ফাই’ কানেকশন বহুস্থানে ফ্রি-তে পাওয়া যায়। কিন্তু, এইসব ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ কানেকশনে কোনও পাসওয়ার্ড তো থাকেই না, এমনকী এর রাউটারও অত্যন্ত নিম্নমানের হয়। ফলে, ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’-এ কানেক্ট হওয়া স্মার্টফোন খুব সহজেই হ্যাক করা যায়। এমনকী, ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের তথ্যাদি কাউকে পাঠাচ্ছেন, তাও খুব সহজেই একজন হ্যাকার দেখে ফেলতে পারে। ‘ওয়াই-ফাই’ নেটওয়ার্কের জন্য একটি ‘হটস্পট’ মেশিন লাগে। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় এই ‘হট-স্পট’ মেশিনের ভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে, এই ‘হটস্পট’-এর সঙ্গে সংযোগ থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপেও সেই ভাইরাস ঢুকে যায়।
এরমধ্যে এমন কিছু ভাইরাস থাকে যাদের কাজ হল ডিভাইসের ভিতর থেকে যাবতীয় তথ্য বের করে হ্যাকারকে পাঠিয়ে দেওয়া। বহু সময় পাবলিক ‘ওয়াই-ফাই’ জোনে নানা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো থাকে। যাত এই ‘ওয়াই-ফাই’ জোনে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপগুলিকে সাবধানে ব্যবহার করা হয় তার জন্য। কিন্তু, অধিকাংশ সময়েই আমরা এইসব সাইনবোর্ডকে পাত্তা দেইনা। ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ জোনে একজনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর ‘ডেটা কমিউনিকেশন’ পড়ে ফেলতে পারে। এছাড়াও, কোনওভাবে হ্যাকাররা যদি মোবাইলে থাকা ব্যাঙ্কিং ডিটেলস, যেমন অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ডেবিট কার্ড নম্বর, পিন নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, পিন নম্বর পেয়ে যায়, তাহলে তখন মাথা চাপড়ানো ছাড়া উপায় থাকে না। তাই, সুরক্ষিত ‘ওয়াই-ফোন জোন’ ছাড়া কোথাও মোবাইল বা ল্যাপটপ কানেক্ট না করতেই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।