দেশে দেশে এটিএম ও ডেবিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ ও ব্যতিক্রম নন। একাধিক ব্যাংকে কার্ডের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে
চলুন দেখে নেওয়া যাক এবং সেই সাথে সতর্ক হওয়া যাক, কি কি উপায়ে এটিএম কার্ড হ্যাক করে হ্যাকার আপনার গচ্ছিত টাকা সরিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠিক কিভাবে আপনি এই হ্যাক হওয়া থেকে নিজেকে সহজেই রক্ষা করতে পারেন।
কার্ড স্কিমারঃ এই ডিভাইসগুলো কার্ড রিডার স্লটে ইন্সটল করা থাকে আপনার কার্ডের ভিতর থেকে তথ্য গুলো নিয়ে নেওয়ার জন্য অথবা কার্ডটাই চুরি করে ফেলার জন্য।
ভারী কার্ড স্লটঃ সাবধান, যদি দেখেন কার্ড স্লট কিছুটা ভারী বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হচ্ছে। কারণ এমনও হতে পারে একটা অতিরিক্ত কার্ড রিডার স্লট, আসল কার্ড রিডার স্লট এর উপরে কায়দা করে বসানো থাকতে পারে।
এটিএম হ্যাক এর আরেকটা নিদর্শন হচ্ছে ঢিলা কার্ড স্লট। সুতরাং, যদি মনে হয়, কার্ড স্লটটা খুবই টলমলে এবং আলগা তবে তা সংকেত দেয় এতে কোন লেবানিজ লুপ থাকার। যা একটি ছোট্ট প্লাস্টিক ডিভাইস বাঁকানো ফলাসহ যা আপনার কার্ডটিকে আবার মেশিনের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলবে। আপনার মনে হতে পারে, মেশিনটি আপনার কার্ড একেবারে ভিতরে নিয়ে নিয়েছে অথবা হয়তো কোথাও এটি আটকে গেছে।

ভুয়া স্ক্রিনঃ এটা শনাক্ত করা খুবই কঠিন কারণ ভুয়া স্ক্রিনটা আসল মেশিনের উপরে পুরোপুরি সেট করা থাকে। যার মাধ্যমে জালিয়াতরা আপনার পিন নম্বর পেয়ে সব টাকা চুরি করে ফেলবে।
নকল কিপ্যাডঃ আসল কিপ্যাড এর উপরে এটা বসানো থাকতে পারে। যদি কিপ্যাড এ হাত দিলে ফাঁপা ফাঁপা লাগে কিংবা ঢিলা মনে হয়, আপনার পিন নম্বর চাপা থেকে বিরত থাকুন।
লুকানো ক্যামেরাঃ অতিক্ষুদ্র কোন ক্যামেরা আপনার মেশিনে কিংবা আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন তার ঠিক উপরে কোথাও লাগানো থাকতে পারে যা আপনার চোখে পড়বে না কিন্তু পিন নম্বর ঠিকই সংরক্ষণ করে ফেলবে।