ইন্টারনেট হ্যাকিং-এর সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও। নিম্নলিখিত কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করলেই এড়াতে পারেন এই ধরনের সমস্যা।
একুশ শতকের পৃথিবীতে প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে, তা আগে কখনও ঘটেনি। আগে অ্যকাউন্ট হ্যাক করা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। কিন্তু এখন, কিছু সাধারণ কেরামতির দ্বারাই আপনার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তবে নীচের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারেন। যেমন—
১। সবসময়ে ভিপিএন বা ‘ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করুন। এতে ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ সংযোগ বজায় থাকে। এর ফলো আপনি যখনই আপনার ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন, তাতে সমস্ত তথ্য থাকবে সুরক্ষিত।
২। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন শপিং ওয়েবসাইটগুলিতে একটা ‘সাইন ইন’ পদ্ধতি থাকে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত ইমেল আইডি ব্যবহার করবেন না। এর জন্য অন্য আর একটি ইমেল অ্যাড্রেস তৈরি করুন।
৩। আপনি যদি একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ থাকেন, তাহলে কখনওই একই পাসওয়ার্ড সবক’টিতে ব্যবহার করবেন না। আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার অ্যকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
৪। ওয়েব অ্যাড্রেসে সরাসরি ক্লিক না করে, তা ম্যানুয়ালি টাইপ করুন।
৫। আপনার যাবতীয় ব্যক্তিগত বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন না। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি হ্যাকরদের অনেকখানি সাহায্য করে।
৬। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার যেক’টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ব্যবহার করার পরে তা অবশ্যই লগ আউট করুন।
৭। আপনার সবক’টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত রাখুন।
এইক’টি বিষয় মাথায় রাখলেই ইন্টারনেট হ্যাকিং সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।